রাত থেকেই বিকেলের অপেক্ষা। আজ বিকেলে অপরূপার সাথে সাক্ষাৎ হবে । কিছুতেই রাত কাটছিল না । দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে সূর্যি মামার উপস্থিতি পেয়ে আহ্লাদে আটখানা। এই তো সকাল হয়েছে । রৌদ্র ঝলমলে দিন , আর কিছু প্রহরের অপেক্ষা। অপরূপা আসবে !
ঘড়ির কাঁটা যেন ঘুরছেই না । কী অদ্ভুত একটা বিষয়? আমার ঘড়ি কী নষ্ট হয়ে গেল নাকি সময় আজকে আমার সাথে আড়ি করেছে ? আজকে কী বিকেল হবে না ? অপরূপার সাথে কী সাক্ষাৎ হবে না ?
বইয়ের প্রতিটি পাতায় যেন দুটি বিষয়েই বারংবার লেখা । এক, অপরূপা আসবে ; দুই, হিংসুটে সময়।
পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা শেষ হচ্ছে, বইয়ের পরে বই কিন্তু বিকেল হচ্ছে না !! আজ কী বিকেল হবে না ? আজ কী অপরূপার সাথে দেখা হবে না ?
অবশেষে ,
সময় হিংসাত্মক মনোভাব ছেড়ে ভালোবাসার ডাকে সাড়া দিয়েছে । সূর্যি মামা পশ্চিমে ঢলে পরতে শুরু করছে। ঘড়ির কাটার প্রতিটি টিক টিক শব্দের সাথে সাথে শরীরের প্রতিটি শিরায় এক অদ্ভুত অনুভূতি প্রবাহিত হচ্ছে। এই বুঝি অপরূপা পিছন ফিরে ডাকছে ! আর অপেক্ষা সহ্য হচ্ছে না । সময়ের আগেই তাহার সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে বাহির হতে যাবো তখনি প্রবল বায়ুর আবির্ভাব !
প্রবল ধুলোমাখা বায়ুর অভিশাপ মুক্তিতে প্রকৃতির সুখের কান্না । মুষলধারার সাথে ধুয়ে নিয়ে যাচ্ছে পবণের অভিশাপ নামের ধুলো। সঙ্গে আরো নিয়ে যাচ্ছে একরাশ সম্ভাবনা।
অপরূপার সঙ্গে সাক্ষাতের ক্ষীণ সম্ভাবনা টুকুও হারিয়ে গেল । তবুও বিকেলের বৃষ্টিতে অপেক্ষারত। এই বুঝি অপরূপা পিছন থেকে ডাকলো ।
শুনছেন !!!…..
S A Hossain