চাঁদ রাতে আতশবাজি নয়, এসো সবাই নতুন করে পরিচিত হই সুবিধাবঞ্চীতদের সাথে
চাঁদ রাতে আতশবাজি নয়, এসো সবাই নতুন করে পরিচিত হই সুবিধাবঞ্চীতদের সাথে
শেখ কনক হাসান, প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক মানবতার ডাক
চাঁদ রাত, কত মধু মাখা আর মিলন-বিয়োগের অকল্পনীয় অধ্যায়। এই রাত্রেই ছেলেরা হাজার টাকার আতশবাজি দিয়ে উদযাপন করে, কেওবা মসজিদের কোনায় বসে এই তসবি জপে। আবার এমনও কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদের আতশবাজি কিংবা জমানো টাকা দিয়ে দরিদ্রদের ঈদ উপহার প্রদান করে গভির রাত্র পর্যন্ত। আমাদের মানবতার ডাক তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান। গল্প আকারে যদি বলি একদিন একটি চাঁদ রাতের বাস্তব অভিজ্ঞতা, জানিনা এই শহরে সমাজ রাতটা স্নেহে গ্রহণ করবে গল্পটি তবুও ইচ্ছা হচ্ছে তাই শেয়ার করলাম। যথারিতী সারাদিন ব্যাপী প্যাকিং, বাজার শেষ করে গ্রামের রাস্তায় আমরা কয়েক জন, যদিও তখন চারিপাশে আতশবাজির হুংকার; আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে পৌঁছে দেবার জন্য কড়া নাড়ছিলাম দুয়ারে দুয়ারে। একটি বাড়ির কাছে গিয়ে সবাই দাড়িয়ে পড়লাম বাড়িটি ছিল ছনের বেড়া আর মরিচা পড়া টিনের ছাউনিতে। দরজায় গিয়ে ডাক দিতেই বেরিয়ে এলেন মলিন চেহারা আর গায়ে জড়ানো ময়লা শাড়ি পরা, চোখের মনি বোধহয় বয়সের ভারেই নীল হয়ে গিয়েছিল এমন বৃদ্ধা একজন মহিলা। ঠিক মতো হাঁটতে পারেন না, দেখলাম কুপির আলোয় বসে ভাত খাচ্ছেন পেয়াজ আর শুটকি দিয়ে, হাতে যখনই ঈদ উপহার দিলাম হয়তো ওনার অজান্তেই চোখে পানি এসেছিল। কি জানি ভেবে আমাদের পুরো টিম স্তব্ধ হয়ে ছিলাম। হঠাৎ একজন বলল, আজকে রাত্রে শুটকি খাচ্ছে, হয়তো কালকে কোন বাড়ি থেকে মায়া বশত শেমাই বা পায়েস দিতে পারে। বাস্তবিক অর্থেই কিছু মানুষ বয়সের শেষ সময়ে ঈদের আগের দিন এমন পরিস্থিতি পড়েন। ও তাই আমি সকল তরুনদেরকেই বলবো এসো সবাই নিজের পরিবারের পাশের পরিবারের খবর নিই। প্রৌঢ়াদের বিশেষ নজর দিই। টিফিনের টাকা মাসে একদিন দান করলে দেখবো নিজের অান্তেই নিজেকে সৌভাগ্যান মনে হবে।
ইদ যেন সবার জন্যই হয়,সবাই যেন একদিন আনন্দ ভাগ করে নিতে পারে…..
কনক হাসান ফাহিম