“ নীরবতার সঙ্গী ”
নারিকেলের পাতার ফাঁকে এক চিলতে রোদ উঁকি দিয়ে মাথা রাখে কোলের কাছে।বেলা হতেই মৃদু চুমু দিয়ে যায় ঠোঁটের ভাঁজে।
সঙ্গী হতে চায় ঐ একচিলতে রোদ।
কিন্তু ওর নির্লজ্জতাকে আমি হৃদয় ছুঁতে দিই নি।
ও জায়গাটা জুড়ে শুধু তুমি আছো।
তোমায় না বলা কথাগুলো সব হাওয়ায় ভাসে।
রোদের বিদায়ের পর সন্ধ্যার আঁধার নামে।
আর আঁধারের শুনশান নীরবতা আমার সঙ্গী হয়ে যায়।
বুকজুড়ে কি একটা ভয় তখন আমার! কেউ সাড়া দেয় না।
হ্যা আমার অনেক ভয়। নীরবতার সঙ্গী হতেও আমি পারিনি।
দুচোখ জুড়ে স্বপ্ন মাখা নীল আকাশ ও শীতের শিশিরভেজা দূর্বা ঘাসও বোঝে আমার হৃদয়ে তোমার অবস্থানটুকু।
স্বপ্ন দেখা স্মৃতিসব আগুনে পুড়ে মেঘে ঢাকা আকাশে পাখি হয়ে উড়ে।
পথের ভাঁজে ভাঁজে তোমার ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে যায় ক্রমশ।
না তবুও আমি তোমার কাছে যাই নি। আঁধারের সঙ্গী হব বলে!
কিন্তু আঁধারের সঙ্গী যে জোনাকিরা!
জোনাকিরা যে আঁধারের জন্য বাসরঘর সাজিয়ে রেখেছে!
ওরা পথে দাড়িয়ে তোমার প্রতিবিম্বকে এগিয়ে দেয়,
আর আমি দূর থেকে তোমার প্রতিবিম্বের চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখি।
রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি।
ইচ্ছে হয় নক্ষত্রের সাথী হতে। ওদেরও কি সময় নেই কথা বলার?
অমনি বিরহী চাঁদ অমাবস্যার চাদরে মুখ লুকিয়ে কান্না জুড়ে দেয়।
পৃথিবীর শরীরেও তার জায়গা হল না বলে!
রাতের স্বপ্নরা আমাকে জাগিয়ে রাখে। দুচোখ ছেড়ে উড়ে যায় ঘুমপাখি।
সহস্র জোনাকির আলোতে আমি কেবল তোমায় খুঁজি!
অভি বিশ্বাস