পথের ধারে দেখি অনেক ছোট ছেলে মেয়ে
থাকে তারা করুণ মুখে ফ্যালফেলিয়ে চেয়ে।
উসকোখুসকো চুলগুলো সব ছেঁড়া নোংরা জামা
গ্রীষ্মকালের গরম সহায় শরীর থাকে ঘামা।
পায় না খেতে পেটটা ভরে খাবার কিছু তারা
দেখেও কেহ দেখে না তো দিতে পারে যারা।
অবহেলায় সময় কাটে মা বাবা হীন পথে
জন্ম থেকে মরণ অব্দি কষ্ট জ্ঞানীর মতে।
বর্ষাকালে জলে ভিজে চুপটি করে থাকে
শোনার মতো নেই যে কেহ বলবে তারা কাকে?
দুঃখ কষ্ট ভোগ করাটাই যাদের ভাগ্যে লেখা
দুখকে ছেড়ে সুখের দিকে বদলায় না তো রেখা।
শীতের সময় এদের দেখি ঠক-ঠকা-ঠক কাঁপে
এত কষ্ট সইছে কেন কী জানি কার পাপে।
পুরানো সব জামা কাপড় দিলে হতো ভালো
এই জগতে সবার মতো পেতো বাঁচার আলো।
অপুষ্টি আর খিদের জ্বালায় ধরে নানান রোগে
মাঝে মধ্যেই শরীর খারাপ করে কষ্টে ভোগে।
কেউবা বাঁচে কেউবা মরে জীবন পশুর মতো
কে বা রাখে এদের হিসাব ভাবে জঞ্জাল যতো।
রতন বসাক (শ্যামনগর)