আড়মোড়া ভেঙে ‘নদী’ খুলে বসেছিল তার স্বপ্নের ঝাঁপি,
একটা দুটো স্বপ্ন উলটে পালটে একে তাকে বিলিয়ে দিচ্ছিল,
কোনোওটা বা রেখে দিচ্ছিল আলগোছে।
রংধনু রঙের স্বপ্নটা মখমলে মুড়ে বাক্সবন্দী করে রেখেছিল পাশে।
‘পাহাড়’ তখন অন্য শহরে কাজের ফিরিস্তি নিয়ে ফর্দ মেলাচ্ছিল।
গুরু গম্ভীর আর গাম্ভীর্যের চাদর টেনে রেখেছিল শরীরে।
টুকটাক কাজের ফাঁকে জানলা দিয়ে দেখতে পেলো নদীকে।
নদীর তখন নীল রঙা প্রজাপতি হবার সখ।
এদেশ সেদেশ ঘুরে ঘুরে যাযাবর তালিকায় নাম তুলবে,
ওমা! পাহাড় কে যেই দেখলো আড় চোখে,
নিমেষে সে খরোস্রোতা হয়ে ধরা দিল পাহাড়ের কাছে।
‘নদী’ তার বাক্সবন্দী স্বপ্নটা ‘পাহাড়’এর নামে দলিল করে দিল মনে মনেই।
পাহাড় তখনও রাশ ভারী পুরুষ।
অথচ তার বুকের ভিতরে মৃত্তিকা ক্ষয় হচ্ছে বুঝে উঠতে পারছেনা।
‘ভাঙবো তবু মচকাবোনা’ ধরনের ব্যক্তিত্ব।
টেকটোনিক প্লেট দুটো যেই একে অপরের সাথে ধাক্কা দিয়েছে,
ভূ-ধরণিতে তে তখন ধ্বস নামা শুরু।
ওমনি নদীতে-পাহাড়ে মিলেমিশে একাকার।
নীলাঞ্জন