বিড়ি
দেবাশীষ চক্রবর্তী
অসুস্থ অমলেন্দুকে প্রণাম করে তূনীর জানতে চাইল, “দাদু কেমন আছো?”
অমলেন্দু ভেঙে পড়লেন, “একাকিত্ব আর ভাললাগে না, বাঁচতেও ইচ্ছে করে না। ছেলে-বউমা-নাতি দোতলা থেকে নামেই না। তোর দিদাও কথা বলে না। কেউ ফোনও করে না। সারাদিন একা। একটা কথা বলার লোক নেই!” একটু দম নিয়ে বললেন, “যা দু’প্যাকেট বিড়ি নিয়ে আয়।”
তূনীর বিস্মিত হলো, “তোমার লাংসের যা অবস্থা বিড়ি তো বিষ!” অমলেন্দু বিরক্ত হন, “ওসব সেরে গেছে। অ্যাশট্রেতে দেখ কত বিড়ির টুকরো।”
অনেক পোড়া বিড়ির টুকরো দেখে তূনীর বিড়ি কিনতে যেতেই অমলেন্দু মনে মনে বললেন, “ডাক্তার বলেছে বিড়ি খেলে আর বাঁচাতে পারবে না। আমি বাঁচতে চাই না। বিষ চাই বিষ!”
দেবাশীষ চক্রবর্তী