মুহাম্মদ আস্রাফুল আলম (সোহেল)

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
—————————————————————————————————————————————

প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের রয়েছে এক সুদীর্ঘ ইতিহাস ৷ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শাসন, নানা ঘটনা-প্রবাহ, রাজনৈতিক উত্থান-পতন, সুখ-দুঃখ এবং হাসি-কান্নার পাশাপাশি এখানে রয়েছে এক মর্মান্তিক রক্তপাতের ইতিহাস! আমি সেদিকের বিস্তারিত আলোচনায় যাব না ৷

তবে এখানে বাঙালি জাতিরও আছে হাজার বছরের এক সুপ্রাচীন ইতিহাস ৷ ঐতিহাসিক ধারাবহিকতা আর দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন, উত্থান-পতন, ঘাত-প্রতিঘাত, সুখ-দুঃখ এবং হাসি-কান্নার মধ্য দিয়ে ব্রিটিশরা (১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ০৩রা জুন পরিকল্পনা বা Mountbatten পরিকল্পনা অনুসারে) ধর্মীয় দর্শনের ভ্রান্ত ‘দ্বি-জাতি তত্ত্বের’ উপর ভিত্তি করে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত বঙ্গ প্রদেশকে British Commonwealth এর অন্তর্গত ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই আগস্ট পাকিস্তান এবং ১৫ই আগস্ট ভারত নামে দুটি পৃথক স্বাধীন অধিরাজ্য (Dominion) সৃষ্টি করে ভারতবর্ষকে বিভক্তের মধ্য দিয়ে (দ্বিতীয় বঙ্গভঙ্গ / Partition of India) ক্ষমতা হস্তান্তর করেন ।

এর ফলে ব্রিটিশ ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ রাজ (Crown) শাসনের অবসান ঘটে । পরবর্তীতে অনেক ঘটনা প্রবাহ ও নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে কালের পথ পরিক্রমায় বাঙালি জাতি তার নিজের অধিকার রক্ষায় তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর দাম্ভিকতা, প্রভাব, স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন-লড়াই করে যান ৷

বিশেষ করে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি, এক ব্যক্তির এক ভোট, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, সংবিধান প্রণয়ন, সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা, আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন, স্বাধিকার আন্দোলন, পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন বিজয় ও সরকার গঠন, ৬২ এর আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও শিক্ষার অধিকার আন্দোলন (গণবিরোধী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করার কারণে), ৬৬ এর বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার সনদ ‘০৬ দফা’ আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ৭১ এর বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়াসহ ইতিহাসের নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ তথাপি ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন এ রাজনৈতিক সংগঠনটি পরবর্তীতে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে নাম পরিবর্তিত হয়ে আজ অবধি ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ পরিচয় বহন করে চলছে । সে এক দীর্ঘ ইতিহাস ৷ তবুও সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখযোগ্য যে, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ০৭ই মার্চ ঐতিহাসিক কালজয়ী ভাষণে বাঙালির স্বাধীনতার সতর্ক-কৌশলে ঘোষণা দেয়ার ফলে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেয় ।

এর ধারাবাহিকতা ও নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে মার্চ বিভীষিকাময় মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কুখ্যাত Operation Search Light নামক নীল নকশা বাস্তবায়নের উদ্দেশে মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক নির্মম, বর্বর, ঘৃণ্য, নৃশংস ও নারকীয় গনহত্যা সংঘটিত করে ৷ এ সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছিলেন পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরাচার জেনারেল ইয়াহিয়া খান । বাঙালি জাতির জীবনে এক মর্মান্তিক এবং কলঙ্কময় অধ্যায় ৷ বৃহত্তম গণহত্যাটি পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল জঘন্যতম দৃষ্টান্ত ।

সে ভয়াল কালোরাতে বাংলার মাটিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছিল তা ছিল এক নৃশংস গণহত্যা ৷ তারা জ্বালিয়ে দেয় ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট ইত্যাদি এবং লুটতরাজ ও ধ্বংস করে বিভিন্ন স্থাপনা । পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সে রাতে পাক-হানাদার বাহিনী ঢাকাসহ বড় বড় শহরগুলোতে ট্যাঙ্ক, কামান, মেশিনগান ইত্যাদি নিয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়ে প্রায় ৯০ হাজার নিরীহ-নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালিকে হত্যা করে ৷ এদের মধ্যে ছিলেন শিশু, বৃদ্ধ, পথচারী, পুলিশ, ছাত্র, শিক্ষক, বাগানের মালী এবং পাহাড়াদারসহ হাজার হাজার নারী-পুরুষ ৷

রাজারবাগ পুলিশ লাইন এবং ঢাকার পিলখানায় অবস্থিত East Pakistan Rifles এর সদর দপ্তরে আক্রমণ করে ৷ রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের শহর, দেশের বিভিন্ন জেলার বড় বড় শহর এবং নানা স্থানের স্থাপনাগুলোকে ধ্বংস করে ৷ এক নিদারুণ ইতিহাস ৷ উল্লেখ্য যে: ২৫শে মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় গণহত্যা দিবস । পাক-হানাদার বাহিনী ঢাকার ৩২ নং ধানমন্ডির বাসভবনে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখে ৷

সু-জলা, সু-ফলা, শস্য, মৎস্য, চির সবুজ, নদীমাতৃক, অপার সৌন্দর্য ও ঐশ্বর্যময় সোনার বাংলার মানুষের প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দোতলায় একটি ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন । যে মহান নেতার একমাত্র বিলাসিতা ছিল বিখ্যাত পাইপে এক শীতল স্বাদযুক্ত প্রিয় সুগন্ধময় এরিনমোর তামাক (Erinmore Pipe Tobacco) দিয়ে ধূমপান করা এবং দার্জিলিং চা । গ্রেফতার করার পূর্ব মুহূর্তে ২৬শে মার্চ (আনুমানিক রাত ১২টা ২০ মিনিটে) প্রথম প্রহরে এক তার বার্তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ৷

সমগ্র জাতির রক্তে আর চেতনায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে প্রতিরোধের দুর্বার স্পৃহা ৷ স্বাধীনতার দীপ্ত আকাঙ্খা ৷ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় ৷ শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ ৷ দীর্ঘকাল যাবৎ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী দ্বারা শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তির মহামন্ত্রে অনুপ্রাণিত এবং উজ্জীবিত হয়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জন করে মুক্তির ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস এবং আত্ম-পরিচয়ের ইতিহাস । উল্লেখ্য যে: ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস ৷ বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের দিন ৷

পরাধীনতার শিকল ভাঙ্গার দিন ৷ রক্তে লেখা গৌরবোজ্জ্বল দিন ৷ মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনগুলোতে গোটা পূর্ব পাকিস্তান হয়ে উঠেছিল বধ্যভূমি। পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষ এর প্রতিবাদ করে এবং বাঙালির স্বাধীনতার পক্ষে জনমত সৃষ্টি হয় ৷ তবে পাকিস্তানপন্থী এ দেশীয় কিছু কুলাঙ্গার বাঙালি বিশ্বাসঘাতক রাজাকার, দালাল, আল বদর ও আল শামস্ মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাক-হানাদার বাহিনীকে সার্বিক সহযোগিতা করে ৷ পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও রাজাকার-দালাল-আলবদর-আলশামস্ বাহিনী ভয়ানকভাবে গনহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে ৷

পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগণ যুদ্ধের অনিবার্য পরাজয় বুঝতে পেরে বাংলাদেশকে চিরতরে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে স্বাধীনতা লাভের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তাদের নির্দেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে রাজাকার, দালাল, আল বদর ও আল শামস্ বাহিনীর সহযোগিতায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান অসংখ্য বুদ্ধিজীবীদেরকে সুপরিকল্পিতভাবে ধরে নিয়ে যায় এবং নির্মমভাবে হত্যা করে ৷

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে ১৪ই ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালিত হয় । বাঙালি জাতির জীবনে এটি একটি বেদনাদায়ক দিন! দুই লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং ত্রিশ লক্ষ প্রাণের এক মহাসাগর রক্তের বিনিময়ে বীর বাঙালি জাতি দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সম্মুখ যুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে । ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ কমান্ড ‘মিত্র বাহিনী’র কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শর্তহীনভাবে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে কাঙ্খিত “বিজয়” অর্জিত হয় ৷

মহান মুক্তিযুদ্ধে পরম বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারত আমাদেরকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয় ৷ বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সহায়তা প্রদান করতে গিয়ে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ৪৩৫৩ জন ভারতীয় সৈনিক পূর্ব পাকিস্তানের মাটিতে নিজেদের রক্ত দিয়ে জীবনকে উৎসর্গ করেন ৷ বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ ৷ উল্লেখ্য যে: ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস এবং জাতীয় দিবস ৷

মহান মুক্তিযুদ্ধ বীর বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরবময় ঘটনা ৷ বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ ইতিহাসে অগ্রগণ্য অর্জন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জিত হয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র। যার স্রষ্টা শেখ মুজিবুর রহমান এবং এটি তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন । আত্মপ্রত্যয়ী বীর বাঙালি জাতি অর্জন করে স্বাধীনতা, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত, সংবিধান এবং বিশ্বের বুকে গর্বিত পরিচয় ।

ইতিহাসের পাতায় রক্তলাল অক্ষরে লিপিবদ্ধ হয় বাঙালির মুক্তির ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস এবং আত্ম-পরিচয়ের ইতিহাস । বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালির মুক্তির মহানায়ক । বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে সোনার বাংলার কৃষক-শ্রমিক-কামার-কুমার-গরিব-দুঃখী-মেহনতী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার সারা জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ।

কারণ, বাংলার আপামর মানুষকে তিনি ভালোবাসতেন, বিশ্বাস করতেন এবং তাদের ভালোবাসাই ছিল তার বড় শক্তি । তাই বাংলা, বাঙালি, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক অবিচ্ছেদ্য সত্তা । বাঙালির তীব্র আকাঙ্খার মহান স্বাধীনতার ইতিহাসে জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান ৩০ লক্ষ আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদের মহাআত্মদান, দুই লক্ষাধিক মা ও বোনের সম্ভ্রমহানি-ত্যাগ-তিতিক্ষা, কোটি বাঙালির মহৎ আত্মনিবেদন এবং সংগ্রামের গৌরবগাঁথা গণবীরত্বের অগ্নিময় ইতিহাস চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ।

পাশাপাশি পাক-হানাদার বাহিনীর অভিযুক্ত ঐ সকল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী এবং এ দেশীয় নির্লজ্জ রাজাকার, দালাল, আল বদর ও আল শামস্ বাহিনীর অভিযুক্ত মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বাঙালি জাতি কোনোদিন ক্ষমা করবে না ৷ তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে ঠাঁই নিয়ে চিরকাল ঘৃণিত, কলঙ্কিত এবং পরাজিত হয়ে থাকবে ৷ *তথ্যসূত্র: আন্তর্জাল (The Internet) ।


#IndependenceDay #Bangladesh 🇧🇩 #26March #26thMarch

স্বপন কুমার বৈদ্য
স্বপন কুমার বৈদ্য
তৃষ্ণা বসাক
তৃষ্ণা বসাক
Learn for earn
Learn for earn
মহা রফিক শেখ
মহা রফিক শেখ
মুহাম্মদ আস্রাফুল আলম (সোহেল)
মুহাম্মদ আস্রাফুল আলম (সোহেল)
সাকিব আহম্মেদ
সাকিব আহম্মেদ
তফিল উদ্দিন মণ্ডল
তফিল উদ্দিন মণ্ডল
অভি বিশ্বাস
অভি বিশ্বাস
কাছেন রাখাইন
কাছেন রাখাইন
মোঃ আলী সোহেল
মোঃ আলী সোহেল
রতন বসাক
রতন বসাক
বারিদ বরন গুপ্ত
বারিদ বরন গুপ্ত
দেবাশীষ  চক্রবর্তী
দেবাশীষ চক্রবর্তী
প্রদীপ ভট্টাচার্য
প্রদীপ ভট্টাচার্য
বারিদ বরন গুপ্ত
বারিদ বরন গুপ্ত

মুহাম্মদ আস্রাফুল আলম (সোহেল)

মুহাম্মদ আস্রাফুল আলম (সোহেল)

Leave a Reply