You are currently viewing সাহিত্য চর্চাটাই বড় কথা যে মাধ্যমেই হোক না কেন।

সাহিত্য চর্চাটাই বড় কথা যে মাধ্যমেই হোক না কেন।

বাস্তব ও কল্পনার সমন্বয়ে কিছু লিখে রাখাই হলো সাহিত্য। সেটা হতে পারে কবিতা, ছড়া, গল্প,নাটক, প্রবন্ধ কিংবা অন্য কিছু লেখার মাধ্যমে। যা এক যুগ থেকে আর এক যুগে প্রসারিত হতে থাকে। এই সাহিত্যের মাধ্যমেই আমরা অতীতের অনেক কিছুই জানতে পারি। আর আমরা আমাদের জীবনকে উন্নত থেকে আরও উন্নততর করতে পারি।

প্রাচীন যুগে সাহিত্যটা মুখে-মুখে প্রচারিত হতো। এরপর সভ্যতার উন্নতির সাথে-সাথে সেটা খাতা ও কলমের অর্থাৎ বইয়ের মাধ্যমে প্রচারিত হতে থাকল। ফলে সাহিত্যটা সংরক্ষিত হয়ে ভবিষ্যতের জন্য রয়ে গেল। সাহিত্য আমাদের জীবনবোধ ও জীবনের মূল্যায়ন শেখায় সমাজে ভালো ভাবে বাঁচার জন্য।

আমাদের সমাজে সবাই যেমন সব কাজ করতে পারে না; ঠিক তেমন সাহিত্যও সৃষ্টি সবাই করতে পারে না। কিছু বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন ও চিন্তাশীল মানুষই আমাদের সমাজে সাহিত্যিক হতে পারেন। দেশ ও বিদেশে অনেক সাহিত্যিকই জন্ম গ্রহণ করেছেন। যাঁরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তাঁদের রচনার মাধ্যমে। এদের জন্যই আজ ও আগামীতে আমরা সমৃদ্ধ হতে থাকব।

সাহিত্য কিংবা সাহিত্যিক যে এক জায়গায় থেমে থাকবে, এটা কোনো মতেই সম্ভব নয়। অতীতে যেমন ছিল আজও আছে এবং আগামীতেও থাকবে। তবে তার রূপ ও পদ্ধতিটা পরিবর্তন হয়ে যায় কিংবা হতে পারে। অতীতে শুধুমাত্র খাতা ও কলমের মাধ্যমে সাহিত্য সৃষ্টি হতো। আজও হয় তবে মোবাইল অর্থাৎ মুঠোফোন আবিষ্কারের ফলে সাহিত্যে এক নতুন দিকের উন্মোচন হয়েছে।

বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ফেসবুক অ্যাপের মাধ্যমে সাহিত্য এক নতুন রূপে এগিয়ে চলেছে পুরো বিশ্বে। সাহিত্য চর্চা করার জন্য বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি হয়েছে এই ফেসবুকেতে। প্রত্যেকটি গ্রুপে সদস্য অর্থাৎ লেখক ও পাঠকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। মাসিক, সাপ্তাহিক ও প্রতিদিন সাহিত্য নিয়ে বিভিন্ন রকম প্রতিযোগিতা মূলক লেখার আয়োজন করা হয়।প্রত্যেকটি লেখাই সঠিক ভাবে বিচার ও বিবেচনা করার পর তাঁকে সম্মানিত করা হয়।

ফেসবুকে সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে নতুন-নতুন প্রতিভার উন্মোচন হচ্ছে প্রত্যেক দিন। প্রত্যেকেই যে মন্দ কিংবা ভালো লেখেন এমন কিন্তু নয়। লেখার প্রচেষ্টা থাকলে আগামীতে অবশ্যই একটা লেখা সুন্দর ও ভালো হয়। আজকের যুগের লেখক ও কবিদের মধ্যে অনেক সুন্দর-সুন্দর তাঁদের সৃষ্টি আমরা দেখতে পাই। যা আগামীতে নিশ্চয়ই ইতিহাস হয়ে রয়ে যাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।

এটাও দেখা গেছে যে, ফেসবুকে যাঁরা লেখেন তাঁদের দেখে নিন্দা করে “ফেসবুক কবি” অনেকেই বলে থাকেন। আর এই কর্মটি তাঁরাই করেন, যাঁরা নিজেরা লিখতে পারেন না। যিনি লেখেন তিনি লেখক আর যিনি কবিতা লেখেন তিনি কবি। এতে দোষের কী আছে? আমি তো তেমন কিছুই দেখতে পাই না। একটি লেখা কলম দিয়ে খাতায় লিখুক কিংবা আঙুল দিয়ে ফেসবুকে লিখুক, এতে অন্যায় বা অসামঞ্জস্যতা কোথায়?

যাই হোক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়, তা না হলে যে পিছিয়ে পড়তে হয়। যে মাধ্যমেই হোক না কেন, সাহিত্য চর্চা হচ্ছে এটাই সবচেয়ে বড় কথা। অন্যান্য কবি ও লেখকদের মতোই; ফেসবুকে যাঁরা কাব্য চর্চা করেন তাঁরাও সম্মানের অধিকারী অবশ্যই। তাঁর নামে নিন্দা করা একদমই উচিত নয়। কে বলতে পারে এই ফেসবুকেই লিখে একদিন বিশ্ববিখ্যাত তিনি হতে পারবেন না? তাই ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে ব্যক্তিগতভাবে যে সাহিত্য চর্চা হচ্ছে, তা একদিন ইতিহাস হয়ে থাকবে এটা আমার বিশ্বাস।

inbound9047699556519374685.jpg

রতন বসাক

Leave a Reply