মুহাম্মদ আস্রাফুল আলম (সোহেল)
মুহাম্মদ আস্রাফুল আলম (সোহেল)

Ahinahina, Haleakalā silversword, Mauna Kea silversword

Ahinahina, Haleakalā silversword, তরবারি ফুল, Sandwicense এবং Mauna Kea silversword প্রজাতি হচ্ছে Hawaii দ্বীপ-পুঞ্জের (Big Island) স্থানীয় একটি অত্যন্ত বিপন্ন ফুলের উদ্ভিদ । বৈজ্ঞানিক নাম: Argyroxyphium sandwicense subsp. macrocephalum এবং Asteraceae পরিবারের সদস্য । এটিকে Mauna Kea পর্বতের ‘মুকুট মণি’ বা ‘মুকুট রত্ন’ (Crown jewel) বলে ৷ এই উদ্ভিদটির হাওয়াইয়ান নাম হচ্ছে আহিনাহিনা (Ahinahina) ।


হাওয়াই দ্বীপের পূর্ব Maui এর বৃহৎ ঢালু আগ্নেয় পর্বতমালা বা পশ্চিম Maui পর্বতমালার শিখরে বা টিলার ঢালে অর্থাৎ Haleakalā আগ্নেয়গিরির শীর্ষ ঢালে প্রায় ৩০৫৫ মিটার উচ্চতায় আহিনাহিনা উদ্ভিদটি জন্মে বা বেড়ে উঠে । বিশ্বের অন্য কোথাও এটি জন্মে না! উল্লেখ্য যে: Haleakalā বা East Maui Volcano হচ্ছে একটি বিশাল ঢাল আগ্নেয়গিরি, যা Maui এর Hawaiian Island এর শতকরা ৭৫ ভাগেরও বেশি গঠন করে । এই Haleakalā (House of the sun) আগ্নেয়গিরির সর্বোচ্চ শিখর হচ্ছে Puʻu ʻUlaʻula (Red hill) {১০০২৩ ফুট (৩০৫৫ মিটার)} ।

এখানেই অবিশ্বাস্য সুন্দর এই বিরল প্রজাতিটি বাস করে । দ্বীপের পশ্চিম অংশের শতকরা ৭৫ ভাগ আরেকটি আগ্নেয়গিরি Mauna Kahalawai দ্বারা গঠিত, যাকে West Maui Mountain ও বলা হয় । আহিনাহিনা ৩ থেকে ৯০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে নিজেকে গোলাপের আকৃতির ব্যাজ (Rosette) ধারণ করতে (কিছুটা দৈত্য, রৌপ্য, ভাজা পেঁয়াজের ফুলের মতো দেখতে) এক দীর্ঘ সময় ব্যয় করে থাকে ৷ তারপর এক গ্রীষ্মে মুকুলিত (Blooms) হয় এবং তার রুপালি ”তরবারি” উত্ক্রান্ত হয় ।

তরবারিগুলো প্রায় ছয় ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে । উদ্ভিদের দেহে শত শত বেগুনি তারাফুল আচ্ছাদিত করে, যা স্থানীয় হলুদমুখি মৌমাছি (Yellow-faced bees) দ্বারা পরাগায়ন ঘটে থাকে । এক সময় ফুলগুলো প্রস্ফুটিত (Blooming) হওয়ার পর বাতাসে এর শুকনো বীজগুলো বিকীর্ণ করে (Dispersing) বা ছড়িয়ে দিয়ে আহিনাহিনা (Silversword) মারা যায় ৷


আহিনাহিনার আরো একটি প্রজাতি হচ্ছে Mauna Kea silversword, যেটি Island of Hawaii এর আগ্নেয় পর্বতমালা Mauna Kea এর ২৬০০ মিটার উচ্চতায় জন্মে ৷ Mauna Kea silversword হচ্ছে Silversword জোটের সদস্য । তিনটি Genera প্রায় ৫০টি প্রজাতির একটি দল, যা সবগুলোই হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় । তাদের বৈচিত্র্যময় Morphologies অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সৃষ্টি-সম্বন্ধীয় আত্মীয়তাকে বিশ্বাস করে এবং একটি একক অগ্রদূত প্রজাতি থেকে অত্যন্ত দ্রুত বিবর্তনের পরামর্শ দেয় । Silversword এর জোটকে Hawaii এর উদ্ভিদের মধ্যে অভিযোজিত বিকিরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নাটকীয় উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় । যা বিবর্তনের বৈশিষ্ট্যে বিচ্ছিন্নতা এবং স্বতন্ত্র পরিবেশগত অবস্থার ভূমিকাকে চিত্রিত করে ।

Mauna Kea silversword খাড়া, একক-কাণ্ডযুক্ত এবং Monocarpic বা কদাচিৎ শাখাযুক্ত । Polycarpic মূলত কাঠীয় ভেষজ, পুরু একটি গোলক-আকৃতির গুচ্ছ তৈরি করে । সর্পিলভাবে সাজানো, তলোয়ার-আকৃতির Silvery-green floccose-sericeous, রৈখিক Ligulate থেকে রৈখিক Lanceolate পাতা একটি Rosette এ বৃদ্ধি পায় । Epigeal বা প্রায় Epigeal rosette ০.৬ মিটার (২ ফুট) বা তার বেশি ব্যাস হতে পারে । যার পৃথক পাতা ০.৩ মিটার (১ ফুট) পর্যন্ত লম্বা এবং সাধারণত ১.৩ সেঃমিঃ (১⁄২ ইঞ্চি) চওড়া হয় । পাতাগুলো সম্পূর্ণরূপে দীর্ঘ রূপালী চুলের একটি ঘন স্তর দিয়ে আচ্ছাদিত । সমস্ত আহিনাহিনার পাতার অন্তঃকোষীয় স্থানগুলোতে জেল হিসেবে জল সঞ্চয় করার একটি অস্বাভাবিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে যেখানে অন্যান্য গাছের পাতায় বাতাস থাকে । ফুলের ডালপালা, যা ফুল ফোটার কয়েক সপ্তাহ আগে প্রদর্শিত হয় । এটি সরু, তবে উচ্চতায় প্রায় ৩ মিটার (৯.৮ ফুট) পৌঁছতে পারে ।

এটি প্রায় ২.৫ সেঃমিঃ (৩১⁄৩২ ইঞ্চি) ব্যাসের ৬০০টি ফুলের মাথা পর্যন্ত খুব আঠালো অসংখ্য ডালপালা দিয়ে গঠিত । প্রতিটিতে ৫০০টি পৃথক ফুল রয়েছে । প্রতিটি মাথার চারপাশে প্রায় এক ডজন গোলাপী থেকে মেরুন পাপড়ির মতো রশ্মি ফুল রয়েছে । ফলগুলো সূর্যমুখীর মতো, তবে লম্বা ও সরু এবং সাধারণত মুকুটযুক্ত, দৈর্ঘ্যে প্রায় ৬টি অসম মাপনী ০.৩ সেঃমিঃ (১⁄৮ ইঞ্চি) থেকে কম । উদ্ভিদটি ফুল না হওয়া পর্যন্ত বহু বছর বেঁচে থাকে । এর আয়ুষ্কাল আনুমানিক ৫ বছর থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত । জুনের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ফুল ফোটে । অস্বাভাবিক বা বিরল (Atypical) গাছপালা ফুলের শাখা ধারণ করে এবং মূল উদ্ভিদ থেকে স্বাধীনভাবে মারা যায় । তাই এই উদ্ভিদগুলো শুধুমাত্র শেষ শাখা ফুলের পরেই স্বতন্ত্র বা পৃথকভাবে মৃত্যুবরণ করে ।

আহিনাহিনা উদ্ভিদটি Haleakalā আগ্নেগিরি বা অগ্নিমুখের আশেপাশে পাওয়া যায় । এইগুলো প্রাথমিকভাবে পুষ্পমঞ্জুরি আকারে পৃথক হয়— Haleakalā silversword উদ্ভিদের মধ্যে বিস্তৃত (প্রস্থের চেয়ে ৪ গুণেরও কম লম্বা) । Mauna Kea এর উপর আরো সংকীর্ণ (৪.৩-৮.৬ গুণ যতটা লম্বা ততটা চওড়া) । আহিনাহিনা বা Haleakalā silversword উপ-প্রজাতিতেও সাধারণত রশ্মি ফুলের সংখ্যা বেশি থাকে । Mauna Kea এর জন্য ১১–৪২ বনাম ৫–২০ ।


আহিনাহিনা একটি বিলুপ্ত প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হয়েছে বলে মনে করা হয় । যেখান থেকে বর্তমান California tarweed (Raillardiopsis প্রজাতি) বিবর্তিত হয়েছিল প্রায় ৫ মিলিয়ন বা ৬ মিলিয়ন বছর আগে একটি সাধারণ মূল ভূখণ্ডের পূর্বপুরুষ থেকে । Molecular Deoxyribonucleic Acid (জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের জিনগত নির্দেশ দ্বারা) গবেষণা দৃঢ়ভাবে এই অনুমান সমর্থন করে ।

ধারণা করা হয় যে, উপনিবেশ স্থাপনকারী পৃথক একটি পাখির পালকে এটি Hawaii দ্বীপে পৌঁছেছিল । আন্তঃমহাদেশীয় বিশালতার চরম দূরত্বের বিসরণ বা বিচ্ছুরণকে (Dispersal) গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার প্রয়োজনীয়তা বাধ্য করে, কারণ প্রজাতিগুলোকে অন্তত ৩৯০০ কিঃমিঃ (২৪০০ মাইল) খোলা সমুদ্রের একটি বিচ্ছুরণ বাধা অতিক্রম করতে হয়েছিল, যা আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকাকে আলাদা করার চেয়ে শতকরা ৬০ ভাগ বেশি দূরত্ব । আহিনাহিনা বা Mauna Kea silversword অসাধারণভাবে কঠোর উপ-আল্পীয় (Subalpine) পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার জন্য বিবর্তিত হয়েছিল, যেখানে কার্যত অন্য কোনো গাছপালা জন্মাতে পারে না । যদিও এটি চারণকারী স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা রাখে না, যা হাওয়াইতে উদ্ভিদের অভিযোজনের লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বিদ্যমান ছিল না ।

একজন আমেরিকান উদ্ভিদবিদ এবং চিত্রগ্রাহক Sherwin John Carlquist FMLS (Sherwin Carlquist) যিনি Hawaiian silversword এর বিবর্তনীয় ইতিহাসে California tarweed এর পূর্বপুরুষের ভূমিকা প্রথম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । অনুমান করেন যে, তাদের মূল ভূখণ্ডের পূর্বসূরি প্রজাতির তৃণভোজীদের জন্য অরুচিকর রজন বা শালীনীর্যাস (Resin) থাকতে পারে ।

আন্তঃকোষীয় জেল (Intracellular gel) হিসেবে জল সঞ্চয় করার অনন্য ক্ষমতার জন্য Tarweed এবং Silversword এর পক্ষে, একটি অভিযোজন যা প্রজাতির জন্য শুষ্ক পরিবেশে বসবাস করা সম্ভব করে তুলেছিল । ঐতিহাসিক নথি থেকে জানা যায় যে, আহিনাহিনা বা Mauna Kea silversword একসময় Mauna Kea এর উপর প্রভাবশালী ছিল । বিশেষ করে ২৬০০-৩৮০০ মিটার (৮৫০০-১২৫০০ ফুট) উচ্চতায় বায়ু-প্রবাহিত Alpine মরুভূমির সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছিল । এই অঞ্চলে আর্দ্রতা কার্যত শূন্য এবং বৃষ্টিপাত সাধারণত শীতকালীন তুষার আকারে হয় । প্রধানত শীতকালে গড়ে বার্ষিক বৃষ্টিপাত প্রতি বছর ৫১-১০২ সেঃমিঃ (২০-৪০ ইঞ্চি) এর চেয়ে কম ।

গ্রীষ্মকালে চরম খরা থাকে । গরম গ্রীষ্মমন্ডলীয় সূর্য থেকে কোনো ছায়া নেই বা রাতের তাপমাত্রা থেকে সুরক্ষা নেই, যা বছরের যে কোনো সময় হিমাঙ্কের নীচে নেমে যায় । মাটি সাধারণত পাতলা, পাথুরে এবং আগ্নেয়গিরিময় অঙ্গার বা ভস্ম । এই অতি উচ্চ বাসস্থান অঞ্চলে অন্য কোনো গাছপালা জন্মায় না । ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে আহিনাহিনা বা Mauna Kea silversword এর জনসংখ্যা পর্যায়ক্রমে হ্রাস পেয়েছে । জীবন্ত আহিনাহিনা বা Silversword শুধুমাত্র Puhakuloa, Waikahalulu এবং Waipahoehoe Gulche এর পাহাড়ে দেখা যেতো । অতিথিপরায়ণ পরিবেশে এটি উন্নতি লাভ করেছিল । উদ্ভিদটি একসময় প্রচুর ছিল । কিন্তু সবচেয়ে রুক্ষ এবং দুর্গম জায়গা ছাড়া এখন এটি প্রায় বিলুপ্ত । ভেড়া-ছাগল-শূকর বিভিন্ন গবাদি পশু খোলা পরিসরে চরানোর ফলে স্থানীয় গাছপালা খেয়ে ফেলা, ভূমি ব্যবহার এবং বন্য কুকুর ইত্যাদি কারণে অবশিষ্ট আহিনাহিনা বা Mauna Kea silversword সহ প্রতিরক্ষাহীন স্থানীয় উদ্ভিদকে ধ্বংস করে দেয় ।


আহিনাহিনা বা Mauna Kea silversword কে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে শুধুমাত্র ৪১টি প্রাকৃতিকভাবে উদ্ভূত উদ্ভিদ বন্য অঞ্চলে বেঁচে ছিল । ১৯৭০ এর দশকে প্রজাতিটির বংশবিস্তার শুরু হয় । ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের গণনায় ১৩১টি উদ্ভিদ পাওয়া যায় । যার মধ্যে শুধুমাত্র ১৫টি বন্য বলে বিশ্বাস করা হয় এবং Nursery পরিবেশে Propagated করা হয়নি । ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে প্রায় ১৫০০ আহিনাহিনা বা Mauna Kea silversword রোপণ করা হয় । উদ্ভিদগুলো ফুলের পরিপক্কতার জন্য উদ্ভূত হয়েছিল ।

কিন্তু শুধুমাত্র এক বা দুইটি স্ত্রীজাতীয় উদ্ভিদ পিতামাতার সাথে শুরু করে একটি সংকীর্ণ জিনগত বৈচিত্র্য ঘটায় । শাখা উৎপাদনের জন্য বংশধরদের বিরল বা অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় । এই প্রজাতির সাধারণ বৃদ্ধির ইতিহাস হচ্ছে একটি একক ফুলের ডালপালা উৎপন্ন করার পরে উদ্ভিদটির মৃত্যু হয় । অন্তঃপ্রজননের প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য বিজ্ঞানীরা একটি নিয়ন্ত্রিত Crossing program শুরু করেছিলেন । বন্য এবং Nursery উভয় ক্ষেত্রেই হাতে পরাগায়নকারী ফুলের আহিনাহিনা বা Silversword । যৌক্তিক সংপ্রশ্ন বা আপত্তি সত্ত্বেও, হাতের পরাগায়নকে নিষিক্তকরণ এবং Nursery ও বন্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে জন্ম সম্বন্ধীয় (Genetic) বিনিময় বৃদ্ধির সম্ভাব্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল । নিয়ন্ত্রিত বংশবৃদ্ধি চারা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য ব্যবহার করা হয় ।

যেহেতু পূর্ববর্তী Outplantings শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি বেঁচে থাকে, কারণ বহু বছর পর শুধুমাত্র একবারই ফুল ফোটে । এতো কম বন্য উদ্ভিদের সাথে, প্রক্রিয়াটিকে একটি উপযুক্ত পরাগায়নকারীর সাথে সুযোগের মুখোমুখি হওয়ার জন্য ছেড়ে দেওয়াকে বুদ্ধিমান হিসেবে বিবেচনা করা হয় । এছাড়াও, আর্জেন্টিনা পিঁপড়ার মতো আক্রমণাত্মক প্রজাতির দ্বারা স্থানীয় পরাগায়নকারীরা ব্যাহত হয়েছে বলে মনে করা হয় । স্থানীয় নির্জন Hylaeus bee genus এই উপ-প্রজাতির পরাগায়নকারী । অ-স্থানীয় মধু মৌমাছি (Apis mellifera) ফুল পরিদর্শন করে ।

কিন্তু উদ্ভিদের মধ্যে স্থানান্তর করার পরিবর্তে পরাগ চুরি করতে দেখা যায় । অতএব, বিজ্ঞানীরা নীতি নির্ধারণ করেন যে- কোনো বীজ বন্যের মধ্যে অবশিষ্ট থাকবে না । আহিনাহিনা বা Silversword এর বন্য জনসংখ্যা দ্রুত কমতে থাকে । প্রায় দুটি পৃথক বা বৈশিষ্ট্যমূলক প্রজাতি প্রতি বছর পুনরুৎপাদন করার আগে হারিয়ে যায় । ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে Mauna Keaতে একাধিক সুরক্ষিত স্থানে ২৫০০টিরও বেশি অতিরিক্ত আহিনাহিনা বা Silversword রোপণ করা হয়েছিল এবং প্রতি বছর আরো নতুন করে প্রবর্তনের পরিকল্পনা করে । ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কোনো অতিরিক্ত বন্য ফুল ফোটেনি । ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরে, একটি বন্য বৈশিষ্ট্যে হাতে পরাগায়িত Cross থেকে ১০০০০০ বীজ সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং বেশ কয়েকটি স্বতন্ত্র বা বৈশিষ্ট্যমূলক Outplanted করা হয় ।

সফল পুনঃপ্রবর্তনের হার আশা জাগিয়েছে যে, এই প্রজাতিটিকে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে । The United States Fish and Wildlife Service প্রতিবেদন করে যে, Mauna Keaতে এখন ৮০০০ প্রজাতির স্বতন্ত্র বা বৈশিষ্ট্যমূলক উদ্ভিদ রোপণ করা হয়েছে । যদিও তারা এখনো শুধুমাত্র ০৬টি বন্য প্রতিষ্ঠাতা থেকে উদ্ভূত হয়েছিল । আহিনাহিনা বা Silversword একটি হুমকিপ্রাপ্ত প্রজাতি । তাদের খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকলে জালের ন্যায় গঠিত সূক্ষ্ম শিকড়গুলো (Network) দৃঢ়ভাবে পদদলিত হতে পারে (Trample) । তাই নিশ্চিত হয়ে এদের এখানে একটি দীর্ঘ সময়ের জন্য নঙ্গর (Berth) ফেলা উচিৎ নয় । দূর থেকে আহিনাহিনা উদ্ভিদগুলোকে উপভোগ করাই শ্রেয় ।।

* তথ্যসূত্র: অন্তর্জাল (The Internet)


স্বপন কুমার বৈদ্য
স্বপন কুমার বৈদ্য
তৃষ্ণা বসাক
তৃষ্ণা বসাক
Learn for earn
Learn for earn
মহা রফিক শেখ
মহা রফিক শেখ
মুহাম্মদ আস্রাফুল আলম (সোহেল)
মুহাম্মদ আস্রাফুল আলম (সোহেল)
সাকিব আহম্মেদ
সাকিব আহম্মেদ
তফিল উদ্দিন মণ্ডল
তফিল উদ্দিন মণ্ডল
অভি বিশ্বাস
অভি বিশ্বাস
কাছেন রাখাইন
কাছেন রাখাইন
মোঃ আলী সোহেল
মোঃ আলী সোহেল
রতন বসাক
রতন বসাক
বারিদ বরন গুপ্ত
বারিদ বরন গুপ্ত
দেবাশীষ  চক্রবর্তী
দেবাশীষ চক্রবর্তী
প্রদীপ ভট্টাচার্য
প্রদীপ ভট্টাচার্য
বারিদ বরন গুপ্ত
বারিদ বরন গুপ্ত

229875069_1411203932595805_3993462422275377268_n-1.jpg

মুহাম্মদ আস্রাফুল আলম (সোহেল)

Leave a Reply