গল্প গানের খেয়া টানে আমরা আর ‘তিনি’
যতদূর জানি, রবীন্দ্রনাথ কম্পিউটার সায়েন্স পড়েন নি। (তাঁর সময়ে ভাবনাগুলো তৈরি হচ্ছে মাত্র; ভুল বলে থাকলে শুধরে দেবেন)
পড়লে কী বলতেন! কঠিন না…
না, সে সব অন্য কথা।
বিজ্ঞান আর সাহিত্যে কোনো দিন বিরোধ ছিল কি?
হয়তো ছিল, হয়তো বা। বাদ দিন। কথা না বাড়িয়ে
গানের কথায় আসি। ধরুন, ‘স্বপ্নে আমার মনে হলো’,
কিংবা ‘আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে’। গানগুলো সবারই চেনা ( শেষের গানটা আমার খুব প্রিয়। কেন প্রিয়, জানি না। রবীন্দ্রসংগীত একটু আধটু পারি বলে হয়তো)।
চিন্তার ব্যস্ততর দিনে এইসব গান তৈরির গল্প শুনতে চান! মন খরচের হিসাব খাতায় লিখে রাখতে চান সৃষ্টির নেপথ্য কবিকাহিনী!
তাহলে ‘রবীন্দ্রগানের অন্তরালে’ পড়ুন। গীতবিতান তথ্যভাণ্ডার’, ‘দিনগুলি তাঁর’ এর পরে অমোঘ পড়াশোনার এই সৃষ্টি ফসল যাঁর, যিনি সারাদিন লক্ষাধিক রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি তাঁর অগণিত গুণমুগ্ধদের ‘চোখের কথা’, ‘চশমার হ্যান্ডবুক’ পড়ান, আবার নিছক ভালোবাসার টানে এই মানুষটাই দিনের বাকি প্রহরগুলোয় বুঁদ হয়ে থাকেন কবিগুরুর কীর্তি চর্চায়।
সময়টা এখন দারুণ। বাংলা নববর্ষ আর পবিত্র ঈদের পূর্ণেন্দু বিকাশে আমোদিত পূর্ণিমার পবিত্র আকাশ, আলোয় আশায় জমে গেছে শ্রদ্ধার খুশ মেহফিল, কিউ আর কোডে রবীন্দ্রসংগীত বাজছে, কান পাতলেই প্রয়োজনীয় মনোমুগ্ধকর তথ্যের পাশাপাশি পাঠক শুনছেন সংশ্লিষ্ট গানগুলো বিভিন্ন বরেণ্য ও নবীন প্রজন্মের একঝাঁক সঙ্গীতশিল্পীর দরদী কণ্ঠে, আনন্দে আমোদিত হচ্ছে ঘামে ভেজা শহর, বাইরে একচল্লিশ ডিগ্রির তাপে প্রযুক্তি আর প্রেমের এই আশ্চর্য খুশি বন্ধনে পাঠক ডুবে যাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথে। বিশ্বকবি আসছেন আরও একবার আমাদের স্পন্দনে। এ সি -র আর কী দরকার!
কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র হয়ে যা আমাদেরই ভাবনায় আসেনি, একজন প্রণম্য মানুষ তাঁর নিত্যকার কঠিন, ঝুঁকিপূর্ণ জীবিকার পাশাপাশি একজন দক্ষ গবেষকের থেকেও বেশি কর্মকুশলতায় এই অসম্ভব কাজটি সর্বাঙ্গসুন্দর করে দেখিয়েছেন।
আমার বা আমাদের মতো ছাপোষা মানুষ কি এর সামগ্রিক মূল্যায়ন করতে পারব?
অমিতাভ সরকার
বারাসাত, কলকাতা-৭০০১২৪ ফোন-৯৪৩২২৮৩১৭৪
প্রথম চিত্রঃ বইয়ের প্রচ্ছদ
দ্বিতীয় চিত্রঃ ডাক্তার পূর্ণেন্দুবিকাশ সরকার
তৃতীয় চিত্রঃ অমিতাভ সরকার



AMITABHA SARKAR