দেবী চামুন্ডা অনার্য কৃষি দেবী, পশুপালক সমাজ থেকে কৃষিভিত্তিক সমাজের উত্তরণের বিভিন্ন পর্যায়ে এই দেবীর আরাধনার সাথে সংযুক্ত! মন্তেশ্বরের দেবী চামুন্ডা, ক্ষিরগ্রামের দেবী যোগাদ্যা উভয় পূজার মন্ত্র স্তব এবং আচরণবিধির উদ্গাতা ছিলেন বর্ধমান মহারাজদের কুল পুরোহিত, মেড়তলার ভট্টাচার্য পরিবার! এক সময় তন্ত্রসাধনার বলে মুর্শিদাবাদের নবাবী দরবার থেকে শুরু করে পাটুলির রাজদরবার, মহারাজার কৃষ্ণচন্দ্রের দরবার, শেষে বর্ধমান রাজ দরবারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই বনেদী তান্ত্রিক পরিবার! বর্ধমান মহারাজদের অধিকাংশ লৌকিক দেবীর আচরণ বিধি তৈরি করেছেন পূর্বস্থলী মেড়তলার এই এই তান্ত্রিক ভট্টাচার্য পরিবার! ফলে একসময় পাটুলি থেকে মেরতলার নি:শুল্ক জল করের ভোগকারী ছিলেন মেরতলার এই ভটচায পরিবার! আজও তারা জলকর ভট্টাচার্য নামে পরিচিত!
সেই সপ্তমীর সন্ধায় দেবী গৃহ থেকে বেরিয়েছেন, অষ্টমী নবমী দুদিন ভক্তদের পূজা গ্রহণ এবং আশীর্বাদ করেছেন ! আজ তিনি ভক্তদের কাছ থেকে বিদায় নেবেন! যাই হোক আজ দেবী চামুন্ডা রাজ পন্ডিতের উপস্থিতিতে এবং নির্দেশে মৌর নাচ সহ বিভিন্ন আচরণ বিধি পালনের, নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে বাজনায় এবং নৃত্যের তালে তালে, দেবী চামুন্ডা গ্রাম পরিভ্রমণ করবেন, ভক্তদের সাথে মেতে উঠবেন, কুল বধূরা দেবীকে সিঁদুর পরাবেন, সিঁদুর খেলবেন, কৃষিজীবী পরিবার সারাবছর দেবীর মুখ চেয়ে বসে থাকে, তাই আজকে গর্ভ গৃহে প্রবেশ করার পরেও দেবী, পৌষ সংক্রান্তিতে আবার গোলা ভরার অঙ্গীকার নিয়ে ভক্তদের সাথে আনন্দে মেতে উঠবেন ওগোল উৎসবে, সেই ৩১ শে পৌষ! নমস্কার ! আবার দেখা হচ্ছে অন্য কোথাও হয়তো জামালপুর এবং ক্ষিরগ্ৰামে !!
# দেবী চামুন্ডার গৃহপ্রবেশ #
বারিদ বরন গুপ্ত (পূর্ব বর্ধমান)
Barid Baran Gupta