You are currently viewing POEM

POEM

রাখাল
কলমে-সিদ্ধেশ্বর হাটুই
সুখাডালী/সারেঙ্গা/বাঁকুড়া/পশ্চিমবঙ্গ

সকালবেলা আমাদের গ্রামেতে
যখন শিশুরা স্কুলে যায় পাঠে
গ্রামের মেয়েরা দলবেঁধে সকলে
স্নানে যায় ঐ গরাই বাঁধের ঘাটে।
তখন ফটিক বাবু গ্রামের লোকের
গরু, ছাগল গুলো নিয়ে চরাতে যায় মাঠে।
তার এক হাতে লাঠি থাকে, অন্য হাতে ছাতা
সঠিকভাবে না চললে পড়বে লাঠি তার পিঠে।
গরু, ছাগল সকলেই ফটিক বাবুকে চেনে
কথা বললে শুনতে হয় একথা তারা জানে।
মাঠের দিকে গাছের তলায় এক আধটু সে বসে
হাতে নিয়ে মোবাইল খানা বাংলা গান শোনে।
তৃষ্ণা পেলে জল এনে খায় পাশের ঐ কলে
খিদে পেলেও পেট ভরে তার কলের জল খেলে।
দেখতে দেখতে বেলা হয়ে যায়, স্কুল হয়ে যায় ছুটি
ফটিক বাবু স্কুলের শিশুদের দেখে পাল নিয়ে বাড়ি আসে চলে।

অহমিকা
কলমে-সিদ্ধেশ্বর হাটুই
সুখাডালী/সারেঙ্গা/বাঁকুড়া/পশ্চিমবঙ্গ

অহমিকা বাড়ায় দুর্দশা, বাড়ায় জীবনে ক্লেশ
আস্ফালন দেখিয়ে নিজের আপদ ডেকো না বিশেষ।
মানুষকে মানুষ ভাবেনা যে জনা, কপটাচরণ করেন সদা,
লিপ্সা তাদের ভর করে, মনে থাকে শুধু কলুষযুক্ত কাদা।
প্রতারণা করে আর কত দিন ? কত দিনে হবে তুমি ক্ষান্ত ?
জীবনতো একটাই , প্রাণপাখি উড়ে গেলে হবেই তুমি শান্ত।
সেদিন তোমার জন্য করবে না কেউ রোদন, শুনে রেখো গুণিজন !
তিরস্কারে মানুষ জানাবে শেষ বিদায়, কেউ থাকবে না আপন ।
রইবে পড়ে তোমার দেওয়া পীড়াদায়ক হাজারো অশোভন স্মৃতি,
চর্চা হবে কয়েকদিন এখানে- সেখানে, প্রকাশিত যত অপকীর্তি।

জীবনে কখনো অহঙ্কারকে দিও না প্রশ্রয়, কোরো না তার পূজা,
মানুষকে করলে আপন পাবে অমূল্য রতন, কমবে তোমার সাজা ।
হাতি যখন পড়ে যায় পাঁকে, লাথি মারে কত ব্যাঙ, আর তুমি তো মানুষ !
ভালোবাসার প্রদীপ জ্বালাও জীবনে, মানুষ হয়ে হইও না এতো বেহুঁশ।

PHATO.jpeg

SIDDHESWAR HATUI

Leave a Reply