চলেছে জীবন এখন
বারিদ বরন গুপ্ত (পূর্ব বর্ধমান)
পাখির ডাকে আরমোরা ভাঙ্গে পৃথিবী
ক্ষুধার্ত হায়েনার মত দরজায় টোকা মারে ,
আতঙ্কে দীর্ঘশ্বাস কাড়ে
ক্ষুধার্ত হায়নার গরম নিঃশ্বাসে
জেগে ওঠে পৃথিবীটা!
দৌড় দৌড় লম্বা দৌড়
হাট মাঠ ঘাট কেঁপে ওঠে
চিৎকার চেচামিটি আর্তনাদ ভেসে বেড়ায়
একসময় থেমে যায় নিস্তব্ধ পাহারায়
বয়ে বেড়ায় ঠান্ডা বাতাস!
বাজার থেকে ফিরে
ব্যাগটা রাখি দূরে
তবুও নিস্তার নেই
সারাদিন জোটে শুধু মুখ ঝামটা
এটা নেই! ওটা নেই ! বিশ খানা ফিরিস্তি দিল জুড়ে
বাড়ি থেকে সরে গুটি গুটি পায়ে
সোজা লক্ষী খুরোর দরজায়,
কয়েকটা মরা চাষী সারাদিন ধুঁকছে
মজা নদীর মত আকাঙ্ক্ষা
আশার নগরে বাঁচে দুরাশা
সারাটা দিন মাখে শোকের ছায়া
পাড়ার রক গুলো মাতিয়ে রাখে উদাসী দূনিয়া
কে জানে! হয়তোবা গতি পাবে!
দুপুর গড়িয়ে এলো
এক এক করে যাচ্ছে সরে,
ক্ষুধার্ত দুনিয়াটা একটু জিরিয়ে নেবে!
বিকেলের নিকেল আলোয়
পৃথিবীটা একটু রঙিন হয়
খোলা আকাশের নিচে ঠান্ডা বাতাসে
উড়ে আসে সাবেক কালের গল্প–
‘পৃথিবীটা একদিন রঙিন ছিল!’
দিনের আলো ফুরিয়ে আসে
গল্প সব মুড়িয়ে আসে
হারিয়ে যায় সুখের স্বর্গখানি
আধার ছায়া ঘুরে বেড়ায়
দিন রাত্রির এক পাহারায়
নেচে বেড়ায় আঁধার ছায়াখানি!
Barid Baran Gupta