You are currently viewing Romajan

Romajan

রমজান শুধু মাস নয় আত্মশুদ্ধির পাথেয়
সামিউল বিন শাহালাল

মুসলমানদের কাছে অন্যতম আত্মশুদ্ধির মাস হল রমাজান।প্রতিটি মুসলিম এ মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।সারাবছর অন্যায় অবিচারে লিপ্ত থাকা হাজারো পথভোলা বান্ধা আল্লাহর কাছে ফরিয়ত জানাতে থাকে ক্ষমা পাওয়ার আশায়।ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকা হাজারো যুবক ফিরে আসতে চাই রবের স্নিগ্ধ ভালবাসায়,আপন করে নিতে চায় ইসলামকে। সারাদিন ক্ষুধার্ত থেকে মহান রব কে দেখাতে চাই ইয়া রব তোমার জন্য আমার এই বর্জন! এই সবকিছুর পরও সে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রাতের পর রাত এবাদতে কাটাই! অশ্রুসিক্ত নয়নে মোনাজাতে রোনাজারি করতে থাকে ইয়া রব ক্ষমা করো আপন করে নাও।
রমজান এমনই একটি মাস, যে মাসে পথ ভোলা পথিক ফিরে পাই পথের দিশা ।যে মাসে সাঁতার না যানা নৌ আরোহী ফিরে পায় তার তীর।এই মাসে অনেকেই সিক্ত হয় মহান প্রভুর ভালোবাসায়।মহান রব তার বান্দার রোনাজারি ফিরিয়ে দেন না আপন করার জন্য করে থাকেন নানা আয়োজন।

“হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন: যখন রমজান মাস আসে তখন আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়,জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয় (বুখারী ও মুসলিম)”

উক্ত হাদিস থেকে এটা সুস্পষ্ট যে রমজান আসা মানে মুমিনের জন্য সুসংবাদ ।কেননা রমজানে জমিন ও আসমান এর ওপরে চলতে থাকে বানান আয়োজন।যা চলে পুরো মাস জুড়ে।মুমিন অবশ্যই এই মাসে আত্মশুদ্ধির পথেও পেয়ে থাকে।

তাছাড়া রমজান এমন একটি মাস যে মাসে মহান আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় হাবিব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর পবিত্র কিতাব কোরআনুল কারীম কে নাজিল করেছেন। যা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শ্রেষ্ঠ একটি মোজেজা ।তাইতো আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন:إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ নিশ্চয়ই আমি এ (কুরআন)কে অবতীর্ণ করেছি মর্যাদাপূর্ণ রাত্রিতে (সূরাতুল কদর)[১] # মহা এই গ্রন্থ সকল রোগের চিকিৎসা ,এ গ্রন্থ সকল বিজ্ঞানের বিস্ময়।আর এই গ্রন্থ শুধু ধর্মীয় নয় প্রতিটি মানুষের জন্য এক অনন্য নিদর্শন। যেখানে মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা শুরু, সেখান থেকেই কুরআনের বিস্ময় শুরু। তাইতো কুরআনুল কারীম শুধু মুসলিম উম্মার নয় বরং সকলের জন্য হেদায়েতের আলোকবর্তিকা।আল্লাহ তা’আলা বলেন :لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ অর্থঃ শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।( সূরাতুল কদর ৪,)

রমজান মুসলিম উম্মার জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই মাসেই নাযিল করা হয়েছে পবিত্র কুরআনুল কারীমকে ।তাছাড়া মহান রবের রমজানে এমন একটি রাতের কথা উল্লেখ করেছেন যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আর সে রাত হল লাইলাতুল কদর বা শবে কদর।

# হে মুসলিম যুবক ভাই আমার তোমাকে আহবান করছি, চলো ফিরে আসি মহান রবের দিকে। আপন করি মহান রব কে। হয়তো এ রমজান এ লাইলাতুল কদর তোমার আমার জীবনের শেষ রমজান শেষ লাইলাতুল কদর ।তাই এই মাসে আসমানের দরজা দিয়ে পেশ করি তোমার আমার আমল টুকু। আর বেশি বেশি ডাকি মহান রব কে।এই মাসেই তো তোমার আমার জন্য বরকতপূর্ণ একটি মাস। চলো সিজদায় নত হই।়

*হে পিতা তোমাকে বলছি এটা হয়তো তোমার জন্য শেষ সুযোগ।তাই তোমার পরিবারকে ঠিক কর। তোমার মেয়েকে ঠিক কর ।পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিজদায় নত হও ।ক্ষমা চাও পূর্বের গুনাহের জন্য।মোনাজাতে বল তোমার পরিবারের সমস্যার কথা,তোমার গুনাহর কথা, তোমার ঋন গ্রস্ততার কথা।নিশ্চয়ই মহান রব তোমাকে সাহায্য করবে,এ রহমত ময় মাসে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলার রহমত তোমাকে ইহকাল এবং পরকাল সহজ করে দিবেন।
এই বরকতপূর্ণ রজনীর মাসে তুমি তোমার রিজিক কে বরকতময় করে তোলো ।এবং হালাল রিজিকের সন্ধানের জন্য মহান রবের কাছে সাহায্য চাও।
সর্বশেষ বলি: হে মহান রব আমরা পাপী, আমরা গুনাহগার,আমরা মত্ত আছি দুনিয়ার রং তামাশা খেলায়, নিজেকে হরিয়ে ফেলেছি ,এমন এক জগতে যেই ফেতনার জগত থেকে ফিরে আসা বড় কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু কাছে আবেদন করছি।হে মহান রব আমাদের এই মোনাজাত কবুল করে নাও।আমাদেরকে ফিরিয়ে নাও তোমার পথে, সিক্ত করে নাও তোমার প্রেমময় ভালবাসায় ।ইয়া রব দয়া কর।,রহম কর।তুমি যদি ১০০টা খুন করা বান্দাকে ক্ষমা করে দিতে পারো!ইয়া রব আমাদেরও তুমি তওবা কবুল কর। সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুলের ওসিলায় আমাদের ক্ষমা করো তোমার রহমতের ওসিলায় আমাদের ক্ষমা করে দাও তোমার কুনফাইয়াকুনের ওসিলায় আমাদের এই মোনাজাত কবুল। করো ইয়া রব তওবা করছি ক্ষমা করে দাও।ইয়া রব্বুল আলামিন (আমিন)))

inbound8400280710702543643.jpg

Shamiul Bin Shahlal

Leave a Reply